Listly by Bijnan O Bijnani
যাঁরা বাংলাভাষায় বিজ্ঞানচর্চা করতে ভালোবাসেন তাঁদের মৌলিক রচনা ও প্রবন্ধ প্রকাশ করার জন্য এবং সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে, বিশেষ করে আগামী দিনে যারা সমাজ গড়বে তাদের কাছে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া, যুক্তিনির্ভর চিন্তা-চর্চায় মগ্ন হওয়া, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা ইত্যাদি বার্তা পৌঁছে দিতে এই ওয়েবজিন সৃষ্টি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস শরীরের আর কোথায় তার আঘাত হানতে বাকি রেখেছে, আগামীদিনে আরো নতুন নতুন সমস্যা আসবে কী না, আক্রান্তরা আরো নতুন নতুন উপসর্গ দেখতে পাবে কী না, সুস্থ হয়ে ওঠার পর নিত্য নতুন সমস্যা নিয়ে হাজির হবে কী না আক্রান্তরা, সেসব নিয়েই এবারের আলোচনা।
প্রকৃতিতে এখনও অনেক রহস্য আছে যা উন্মোচিত করা সম্ভব হয়নি। যেমন বাল্ট্রা দ্বীপের রহস্য আজও আমাদের অজানা। রহস্য উদ্ঘাটন হোক আর নাই হোক, একদিন মৃত দ্বীপ বলে পরিচিত বাল্ট্রা বিজ্ঞানের আশীর্বাদে আজ বিশ্বের অন্যতম কর্মচঞ্চল দ্বীপ।
একথা অনস্বীকার্য যে খাদ্যগুণ ছাড়াও খাদ্যের রঙ ও চেহারা'র ও বিশেষ ভূমিকা আছে খাদ্য হিসাবে নির্বাচিত হতে। আর এই বোধ থেকেই সম্ভবত খাদ্যে রঙের প্রয়োগের ভাবনা আসে। কিন্তু তার ফলাফলও হয় মারাত্মক।
ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মীর একটি চিঠির জেরেই যাত্রী সুবিধার্থে প্রতিটি ট্রেনে তৈরি করা হয় রেল টয়লেট। কিন্তু কতটা পরিবেশবান্ধব ছিল সেটি?
খ্রিস্টপূর্বকালীন জটিল যন্ত্র অ্যান্টিকিথেরা (antikythera) তৈরি হয়েছিল সূর্যভিত্তিক সৌরজগতের ধারণা থেকে। বিজ্ঞানীরা ভেবে পাচ্ছেন না গ্রিক পণ্ডিতদের জানা এই বিজ্ঞান মধ্যযুগে হারিয়ে গিয়েছিল কীভাবে যা কোপার্নিকাসকে পুনরায় আবিষ্কার করতে হয়েছিল?
ক্লোরোফিল অণু সূর্যের আলো থেকে শক্তি পেয়ে খেপে গিয়ে সেই শক্তিকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়। সেখানে সালোকসংশ্লেষের প্রথম ধাপের বিক্রিয়া হয়। বিতর্ক হচ্ছে কেমন করে সেই সৌরশক্তি খুব কম সময়ে, একটুও প্রায় না খুইয়ে, অত লাখ লাখ ক্লোরোফিল অণু পেরিয়ে বিক্রিয়ার কুরুক্ষেত্রে পৌঁছায়। কিভাবে?
যে ভূখন্ড থেকে চিতা নামের উৎপত্তি সেই ভূখন্ডেই আজ আর চিতা নেই। 1952 সালে সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে যে ভারত চিতা শূন্য। কেন এমনটা হল?
ইউভাইটিস (Uveitis রোগটিকে যদি Conjunctivitis ভেবে ভুল করা হয় ও দ্রুত চিকিৎসা না করানো হলে চোখের বিশেষ ক্ষতি হতে পারে। আসুন জানা যাক এই রোগটি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
আমেলি এম্মি নোথার আধুনিক অ্যাবস্ট্রাক্ট অ্যালজেবরা-র দুনিয়াতে যে অবদান রেখে গেছেন তা গণিতের ইতিহাসে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
প্রোটন বললো, ওই যে তুমি আমায় আদিকণা বললে, তাইতে হতভাগাদের প্রেস্টিজে লেগেছে। ওরা তিন পিস্ কোয়ার্ক, আমায় নাকি গড়েছে বলে দাবি করে।
পৃথিবী থেকে বহু বহু দূরে একধরনের তারকাসদৃশ্য উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কর খোঁজ পাওয়া গেছে। এদের বলা হয় ‘কোয়াসাই-স্টেলার রেডিও সোর্স’, সংক্ষেপে ‘কোয়াসার’।
আজকের বাড়িতে ঘুলঘুলি নেই, নেই ছাদের খোলা জল বেরোবার নলও। পাখিরা বাসা বানাবার জায়গা পাচ্ছে না; তাদের সংখ্যা কমতেই থাকছে।
২৯ টাকা করে তিনজনের টাকা যোগ করলে হয় (২৯×৩)টাকা=৮৭ টাকা। কর্মচারীটির কাছে আছে ২ টাকা। তাহলে হয় (৮৭+২)টাকা=৮৯ টাকা। তাহলে আর ১ টাকা গেল কোথায়?
মৌলিক সংখ্যা হল এমন স্বাভাবিক সংখ্যা যার কেবলমাত্র দুটি পৃথক উৎপাদক আছে— ১ এবং ঐ সংখ্যাটি নিজে। তাই বলা যায়, যে সকল সংখ্যা ১ ও সেই সংখ্যা ব্যতীত আর কোনো সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য নয় তাদের বলা হয় মৌলিক সংখ্যা। কিন্তু ১-কেন-মৌলিক-সংখ্যা-নয়?
কে.সি.নাগের হোক বা যেকোনো প্রাক-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের গণিতের বইয়ে পাঠ্য ‘দ্বিঘাত সমীকরণ (Quadratic equation)’-এর সমাধানের জন্য যাঁর আবিষ্কৃত অনবদ্য সূত্রটির কথা মনে পড়ে তিনি আর কেউই নন এক হাজার বছর আগেকার আমাদের এই বাংলার এক কিংবদন্তি গণিত পন্ডিত ‘শ্রীধর আচার্য’।
যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ১ ও ২ এর মধ্যে ক’টি সংখ্যা আছে? অনেকেই ভাববে, এটা আবার কী ধরনের প্রশ্ন? ১ ও ২ এর মধ্যে আর কোনো সংখ্যা আছে নাকি? সত্যি বলতে, ১ ও ২ এর মধ্যে আছে অসংখ্য সংখ্যা। আসুন জানা যাক।
সাধারণ উপাদান ও যন্ত্রপাতির সাহায্যে বাংলার লোকশিল্পীরা যুগযুগ ধরে যে আসামান্য শিল্প তৈরি করে আসছে তার প্রতিটি শিল্পের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে গণিতের সুনিপুণ প্রয়োগ।
পৃথিবীর সব প্রান্তেই অঙ্কের বই একইভাবে লিখিত। বড়ো বেশি গাণিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রী মহল উপলব্ধি করল কিনা তা জানা বা দেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম না।
‘স্বাভাবিক সংখ্যার’ সংখ্যা যদি খুব বেশি হয় তাহলে তার ভিতর থেকে বৃহত্তম মৌলিক সংখ্যাটি বের করা যতই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হোক না কেন গণিতবিদরা কিন্তু হাল ছেড়ে দেন নি।
গণিতশাস্ত্রের চারটি মৌকিক ক্রিয়ার একটি হল গুণ বা গুণন। শিক্ষার্থীরা যে প্রক্রিয়ায় গুণ পদ্ধতি শেখে সেটা অনেকটাই যান্ত্রিক। আমার এই প্রবন্ধে কয়েকটি বিকল্প গুণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
বৃষ্টির পর রোদ উঠলে আকাশে মাঝেমধ্যে রামধনু দেখা যায়। সূর্য আকাশের যেদিকে থাকে তার উল্টো দিকের আকাশে যে সাত রঙের বর্ণালী দেখা যায় সেটাই হল রামধনু। প্রকৃতির এই রঙিন আলপনা মূলত বৃত্তাকার হয়। তবে আমরা অর্ধেকটা দেখতে পাই।
কৃষ্ণকামিনী রোহাতগি মুখার্জি বাঙালী বিজ্ঞান মহাকাশের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রটি ছিল অতিশয় জটিল। আসুন জানা যাক তাঁর সম্বন্ধে কিছু কথা।
স্কুলে পড়া ছোট্ট বাবু আজ তার মা-কে তাপ ও শক্তি-র বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে অবাক করে দিয়েছিল। বাবুর কপালে চুমু খেয়ে তার মা ভাবতে লাগল কিছু জানার মধ্যে অনেক আনন্দ লুকিয়ে থাকতে পারে এটাই যে অজানা ছিল এতদিন।
বিজ্ঞান শুধু পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তা সার্বিক উন্নতির কাজে লাগেনা। সেই জ্ঞান সকলের মাঝে ছড়িয়ে না দিলে সাধারণ মানুষ চিরকালই অজ্ঞ হয়ে থাকেন, বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহারটা তারা আর করে উঠতে পাড়েন না।
1869 সালে এক সুইস বিজ্ঞানী Friedrich Miesher রক্তের শ্বেত কণিকার ভিতরে কি আছে জানার চেষ্টা করতে গিয়ে এক নতুন পাওয়া বস্তুটি, Nuclein এর উপর গবেষণা চলতে লাগলো বিজ্ঞানী মহলে।